Translated into Bangla
Facebook নাকি God’s Book
আমাদের অনেকেরই ফেসবুক আসক্তি রয়েছে। এক অজানা অন্ধ তাড়নায় দিনে কয়েকবারও ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট চেক করি। কখনও কখনও ঘুমানোর আগে এটাই আমাদের শেষ কাজ হয়, আবার ঘুম থেকে উঠে প্রথম কাজ হয়। যখন আমরা এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকি সময় দ্রুত চলে যায়, অনেকটা যেন আমরা আচ্ছন্ন থাকি এটা নিয়ে।
অথচ আমাদের কয়জনের এমন আসক্তির সম্পর্ক, অথবা আদৌ কোন সম্পর্ক আছে – কুরআনের সাথে? এটা সেই বই বা কিতাব যেটা মদ্যপ, অত্যাচারী, কন্যা শিশু জীবন্ত চাপা দিয়ে হত্যাকারী মানুষদেরকে ন্যায় এর পথে আহ্বানকারী, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, কোমল হৃদয়ের, সমস্ত জগতের রব আল্লাহর নিরহঙ্কারী বান্দায় পরিনত করে দিয়েছিল। এই কিতাবের মধ্যে যা রয়েছে তা যদি সেই মানুষগুলোর হৃদয়ে চিরন্তন শান্তি আর প্রবৃত্তির খেয়ালখুশির শৃঙ্খলা থেকে আত্মার মুক্তি এনে দিতে পারে, তাহলে নিঃসন্দেহে তা আমাদেরকেও আমাদের সমস্যা, হৃদয়ের যন্ত্রণা আর দুশ্চিন্তা থেকে উদ্ধার করতে পারে। কিন্তু, আমাদেরকে প্রভাবিত করার যে কি ভীষণ ক্ষমতা এর রয়েছে তা সারাজীবন আমাদের অজানাই থেকে যাবে যদি আমরা এই কিতাবকে বাদ দিয়ে অন্যান্য সম্পর্কগুলোকে কে প্রাধান্য দেওয়া অব্যহত রাখতে থাকি।
আমারা কেউ কেউ কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়তে চাই, কিন্তু হয়তো মনে হয়…একঘেয়ে, দুর্বোধ্য, অথাবা যথেষ্ট দ্রুত না। আমরা স্ট্যাটাস আপডেট, ছবি, আর প্রানবন্ত আলাপচারিতায় অভ্যস্ত। আমরা মজার মজার ক্যাপশন আর ছবি বেশী উপভোগ করি। আমরা সত্যিকারেরে মানুষজন, কথার আদান প্রদান, ধরা ছোঁওয়ার মধ্যের বন্ধুত্ব -অথবা অন্ততঃ শুধু ফেসবুকের বন্ধুত্ব বেশী পছন্দ করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই বাস্তবে চেনেও না এমন মানুষকেও বন্ধু হিসেবে অ্যাড করে নেই।
আসলে আমরা যা পছন্দ করি তা অনেক আগে থেকেই কুরআনের ভিতরেই রয়েছে। এখন এটা আমাদের উপরই নির্ভর করে আমরা আল্লাহর সহায়তায় কুরআনকে আমাদের বর্তমানের বিনদোনের উপকরনের সাথে অদল বদল করতে পারি কিনা। কুরআনের ভিতর থেকেই আমরা আমাদের হৃদয়ের খোরাক পেতে পারি, যদি আমরা আমাদের চিন্তাধারাকে পরিবর্তন করি আর আমাদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগাই। এখন কয়েকটি উপায়ের উল্লেখ করছি যা আমরা আল্লাহর কিতাব আল-কুরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারি আর এতে করে দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের অবস্থানের উন্নতির আশা করতে পারি ইনশাআল্লহ।
Facebook থেকে God’s Book এ
ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল ও জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোর প্রতি আপনি কেন আকর্ষণ বোধ করেন, বার বার, কমপক্ষে দিনে কয়েকবার এর কাছে ফিরে ফিরে আসেন? একটু পর পর পরিবর্তন হওয়া স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও ইত্যাদির নতুনত্বের জন্য? নাকি আপনার পোষ্টের প্রশংসামূলক কমেন্টের জন্য? নাকি তাৎক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ করতে পারার আনন্দের জন্য? নাকি শুধুই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য? খুঁজে বের করুন কি সেই কারণ যা আপনাকে বারবার টেনে নেয়? তারপর সেই কারণটিকে কুরআনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন।
ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল ও জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোর প্রতি আপনি কেন আকর্ষণ বোধ করেন, বার বার, কমপক্ষে দিনে কয়েকবার এর কাছে ফিরে ফিরে আসেন? একটু পর পর পরিবর্তন হওয়া স্ট্যাটাস, ছবি, ভিডিও ইত্যাদির নতুনত্বের জন্য? নাকি আপনার পোষ্টের প্রশংসামূলক কমেন্টের জন্য? নাকি তাৎক্ষণিক ভাবে যোগাযোগ করতে পারার আনন্দের জন্য? নাকি শুধুই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য? খুঁজে বের করুন কি সেই কারণ যা আপনাকে বারবার টেনে নেয়? তারপর সেই কারণটিকে কুরআনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন।
আপনি যখন নূহ (আঃ), মুসা (আঃ), ঈসা(আঃ), লুত (আঃ), মরিয়ম (আঃ) এর গল্প পড়বেন, যখন পড়বেন তাঁরা যাদেরকে আল্লাহর পথে ডেকেছিলেন তাদের সাথে সংগ্রামের কথা, তখন সেগুলোকে একেকটা স্ট্যাটাস আপডেট মনে করবেন। সেইসব ঘটনার সময় আল্লাহ যা বলেন আর লোকেরা যা বলে তর্ক করত সেগুলোকে সেই স্ট্যাটাস এর কমেন্টস ভাববেন।
মরিয়ম (আঃ) কিছু বলেছিলেন আর আল্লাহ তাঁর জবাব দেন (এটাকে messaging মনে করুন)। ঈসা (আঃ) তাঁর অনুসারীদের কিছু বলেন আর তারা সবাই সেটা নিয়ে আলোচনা করল (সেই আলোচনাকে tweeting মনে করুন)। মুসা (আঃ) ফেরাউনকে আল্লাহর পথে ডাকেন (এটাকে ফেরাউনের wall এ পোস্ট মনে করুন); এরপর ফেরাউন তার অনুসারীদের নিয়ে পাল্টা আক্রমন করতে আসলো (এটাকে আপত্তিকর কমেন্টস মনে করুন)। আল্লাহ ফেরাউন বাহিনীকে ধ্বংস করে দিলেন (এটাকে delete বা ban করে দেওয়া মনে করুন)। আল্লাহর কিতাব ফেইসবুক থেকে অনেক বেশী রোমাঞ্চকর, গভীর এবং নতুনত্বে ভরা। আমাদের শুধু একে best friend হিসেবে ‘add’ ও ‘tag’ করতে হবে।
আমাদের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারার কারণেও ফেসবুককে এত আসক্তিকর মনে করি। তাহলে আসুন, আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে পারার গুনের কারণে কুরআনের প্রতি আমাদের আসক্তি গড়ে তুলি। আল্লাহর কিতাব পড়তে পড়তে যখন কিছু ‘like’ করতে ইচ্ছা করবে তখন বলুন ‘আলহামদুলিল্লাহ’। এতে সওয়াবও অর্জিত হবে এবং আল্লাহ আরও অধিক দেবেন। আল্লাহ বলেন:“তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অবশ্যই অধিক দেব, আর অকৃতজ্ঞ হলে অবশ্যই আমার শাস্তি হবে কঠোর।” [সূরা ইব্রাহীম:৭]
যখন কোন আয়াত পড়ে আপনার কোন কিছু বলতে বা ‘comment’ করতে ইচ্ছা হবে, তখন আপনার হাত উঠিয়ে দোয়া করুন। এতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে comment করার পরিবর্তে আপনার তাঁর সাথে সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে যিনি এই কিতাবকে আপনার জন্য আরও সহজ করে দিতে পারেন, আপনার কথা শোনেন এবং জবাব দেন। যখন আপনি জান্নাত বা জাহান্নামের বর্ণনা পড়বেন, ভাববেন আল্লাহ সুবহানা ওয়াতা’আলা আপনার জন্য ছবি আপলোড করেছেন যাতে আপনি এর প্রতি মনোযোগ নিবদ্ধ করেন আর এর দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। যখন এমন ছবি কল্পনা করে আপনি বিমোহিত বা আতঙ্কিত বোধ করবেন, তখন আপনার আমলের মাধ্যমে কমেন্ট করুন! এমন আমল করুন যা আপনাকে সেই জান্নাতে বসবাসকারীদের কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং সেই যন্ত্রণাদায়ক আগুন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। আপনার এই ধরনের ‘কমেন্ট’ আপনার জন্য দুনিয়া আখিরাত উভয় জায়গায় চিরস্থায়ী ফল এনে দেবে ইনশাআল্লাহ। আর আল্লাহ সুবহানা ওয়াতা’লা আপনাকে তাঁর পছন্দনীও বান্দা হিসেবে ‘ট্যাগ’ করবেন।
কুরআনকে নিজের প্রিয় বন্ধু বানান
অনেক সময় আমরা যখন বিষণ্ণ বা একা বোধ করি, অথবা আনন্দে আত্মহারা হই, অথবা উদাসী বা নিঃস্পৃহ হই, আমরা তা পোস্ট করি। আমরা সবাইকে জানাই যে আমরা কেমন আছি, কি ভাবছি, আজকে কি হল না, আজকে কি হবে আশা করেছিলাম, ইত্যাদি। আমরা প্রায়ই ফেসবুকের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মত আচরণ করি, বারবার খোঁজ নেই, প্রতিনিয়ত এসে এসে দেখা করি। এখন একটি সুযোগ এই যোগাযোগের ক্ষেত্রটিকে ভিন্নদিকে স্থানান্তর করার; আসুন আমরা আল্লাহর কিতাব কে আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানাই। নিজের মনে মনেই কুরআনকে আমাদের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে নাম দেই।
অনেক সময় আমরা যখন বিষণ্ণ বা একা বোধ করি, অথবা আনন্দে আত্মহারা হই, অথবা উদাসী বা নিঃস্পৃহ হই, আমরা তা পোস্ট করি। আমরা সবাইকে জানাই যে আমরা কেমন আছি, কি ভাবছি, আজকে কি হল না, আজকে কি হবে আশা করেছিলাম, ইত্যাদি। আমরা প্রায়ই ফেসবুকের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মত আচরণ করি, বারবার খোঁজ নেই, প্রতিনিয়ত এসে এসে দেখা করি। এখন একটি সুযোগ এই যোগাযোগের ক্ষেত্রটিকে ভিন্নদিকে স্থানান্তর করার; আসুন আমরা আল্লাহর কিতাব কে আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানাই। নিজের মনে মনেই কুরআনকে আমাদের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে নাম দেই।
আপনার যদি মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে, তাহলে ভেবে দেখুন আপনি তার ফোন এলে কিভাবে ছুটে যাবেন, যদি জানেন যে তিনি আপনাকে আপনার জীবন পরিবর্তনকারী কোন কাজের ফলাফল জানাবে। ভেবে দেখুন আপনি কিভাবে হাসি আনন্দে থাকেন যখন তার সাথে একান্তে আড্ডা দেন। ভেবে দেখুন কিভাবে আপনি তার নম্বরে ডায়াল করেন এই নিশ্চিত ভাবনার সাথে যে তারা আপনার উত্তর দেবেই।
এখন, সেরা বন্ধুত্বের ঠিক এই বোধটি কুরআনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করুন। আপনি যদি কুরআনকে আপনার সেরা বন্ধু হিসাবে গ্রহন করেন, তাহলে যখনি একে কাছে দেখবেন এর কাছে ছুটে যাবেন, জানবেন যে এটি আপনাকে ডাকছে, শুনবেন এর কি বলার আছে আপনাকেই উপকার করা, নির্দেশনা আর আনন্দ দেওয়ার জন্য। আপনি যখন বিক্ষিপ্ত থাকবেন, নিঃসঙ্গ বোধ করবেন, আপনি আপনার প্রিয় বন্ধুটির কাছে ছুটে যান, আপনার হৃদয়ের সাথে আঁকড়ে ধরুন, খুলুন এবং পড়ুন, তেলাওয়াত করুন, এর মন ভোলানো সান্ত্বনা, দয়ার্দ্র সমবেদনার বানী উন্মোচন করুন, এর হিকমতের পূর্ণতা আবিষ্কার করুন যা ঠিক যেন আপনারই পরিস্থিতির ব্যপারে বলা হয়েছে। আপনি যখন সীমাহীন উল্লাস অনুভব করেন, খুশীতে লাফানোর মত উপক্রম হয়, যখন আপনি অবশেষে আপনার কাঙ্খিত বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে পেরেছেন, বা সেই চাকরিটি পেয়েছেন, অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন, আপনার স্বপ্নের মানুষের সাথে বিয়ে হতে যাচ্ছে অথবা সন্তান লাভের সৌভাগ্যের অধিকারী হয়েছেন, আল্লাহর কিতাবটি হাতে নিন, আনন্দের অস্রু ঝরান, অথবা অনুপ্রেরনা লাভ করুন, বাস্তবে এটা জেনে রাখুন যে, আপনি তাঁরই কাছে ফিরে আসছেন যিনি আসলে আপনাকে সেই আনন্দটি দিয়েছেন।
কুরআন শুধু একটি পবিত্র বই না, এটি আপনাকে জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য দেখায়, এটি আপনার প্রথম সমর্থক, আপনার সার্বক্ষণিক সঙ্গী, আপনার গাইড, আপনার গোপন বিষয়ের সংরক্ষক- এটি আপনার সেরা বন্ধু।
আমাদের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা
কুরআনকে আমাদের প্রিয় বন্ধু হিসাবে গ্রহন করার পর, আমাদের এর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করতে হবে। সেরা বন্ধুত্ব এক দিনেই হয়ে যায় না। যাদের সাথে আমাদের ইতিমধ্যেই যোগসূত্র তৈরি আছে তাদের সাথে বারংবার যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা ক্রমাগত সত্যিকার অর্থে জড়িত হতে থাকি। কুরআনের ক্ষেত্রেও এটাই প্রযোজ্য। আল কুরআন সবসময়ই আমাদের কাছাকাছি আছে, আমাদের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু হবার অপেক্ষায় আছে। কেন? কারণ আমরা যখন কুরআনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি, বাস্তবে আমরা তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের সবচেয়ে ভাল জানেন। হাদীসে কুদসিতে সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমার প্রতি বান্দার যে ধারণা রয়েছে আমি তার জন্য তেমন হয়ে থাকি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথেই থাকি। আমার দিকে যে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আমার দিকে সে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই; আর সে যখন আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তখন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হই।” যখন আমরা আল্লাহ কে স্মরণ করি, আমরা তাঁর নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করি, তিনি আরও দ্রুতবেগে আমাদের নিকটবর্তী হন। কাজেই, চলুন আমরা আল্লাহকে পেতে কুরআনের সাথে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে দৌড়ে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করি !
কুরআনকে আমাদের প্রিয় বন্ধু হিসাবে গ্রহন করার পর, আমাদের এর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করতে হবে। সেরা বন্ধুত্ব এক দিনেই হয়ে যায় না। যাদের সাথে আমাদের ইতিমধ্যেই যোগসূত্র তৈরি আছে তাদের সাথে বারংবার যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা ক্রমাগত সত্যিকার অর্থে জড়িত হতে থাকি। কুরআনের ক্ষেত্রেও এটাই প্রযোজ্য। আল কুরআন সবসময়ই আমাদের কাছাকাছি আছে, আমাদের সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু হবার অপেক্ষায় আছে। কেন? কারণ আমরা যখন কুরআনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি, বাস্তবে আমরা তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করি যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং আমাদের সবচেয়ে ভাল জানেন। হাদীসে কুদসিতে সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমার প্রতি বান্দার যে ধারণা রয়েছে আমি তার জন্য তেমন হয়ে থাকি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথেই থাকি। আমার দিকে যে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আমার দিকে সে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই; আর সে যখন আমার দিকে হেঁটে অগ্রসর হয়, আমি তখন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হই।” যখন আমরা আল্লাহ কে স্মরণ করি, আমরা তাঁর নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করি, তিনি আরও দ্রুতবেগে আমাদের নিকটবর্তী হন। কাজেই, চলুন আমরা আল্লাহকে পেতে কুরআনের সাথে সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে দৌড়ে আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করি !
প্রতিদিন কুরআন পড়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমান নির্ধারণ করি, পরিস্থিতি যেমনই হোক। নিশ্চিত করি যেন এটা সেই ভাষায় হয় যা আমরা বুঝি। যদি আমরা কিছুটা আরবী পড়তে ও বুঝতে পারি, তাহলে আরবী এবং তার অর্থও পড়ি। আল্লাহ সুবহানাওাতায়ালা আরবদের জন্য কুরআন তাদের ভাষায় নাযিল করেছেন যাতে তারা তা বুঝতে, তা দ্বারা নিজেদের পরিবর্তন করতে ও তা দ্বারা জীবন গড়তে পারে। কাজেই, আমরাও সেই ভাষায় পড়ার চেষ্টা করি যা আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করবে, এবং তা প্রতিদিন করি। ২০ পৃষ্ঠা করে অথবা ১ আয়াত করে – যেই পরিমানই আমাদের পক্ষে সম্ভব নিয়মিত ভাবে পড়ি এবং তাতে দৃঢ় থাকি। কারণ মহানবী (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন, আল্লাহর কাছে সেই আমল ছোট হলেও প্রিয় যা নিয়মিত করা হয়। শুধু রমজান মাসে সারাদিন ধরে কুরআন পড়ে তারপর একে অবহেলা করার চেয়ে, সারা বছর ধরে প্রতিদিন নিয়মিত অল্প করে পড়া অনেক উত্তম। কোন সম্পর্ক কিভাবে সুগভীর হবে যদি তা শুধু বছরে একবার পালন করা হয়?
ফেসবুক নেটওয়ার্কিং এর জন্য ভাল একটি মাধ্যম হতে পারে, কিন্তু এর প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি আমাদের জীবনে দীর্ঘস্থায়ী উপকার খুব সামান্যই আনতে পারে। আল্লাহর কিতাব হল সেই অভাবনীও মাধ্যম যার দ্বারা আমরা এই মহাবিশ্বের স্রষ্টার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারি; যার কাছ থেকে আমরা দুনিয়া ও আখেরাত দুটোরই চিরস্থায়ী কল্যাণ পেতে পারি। আসুন, আমরা আল্লাহর কিতাবের দিকে ধাবিত হই, আমাদের সেরা বন্ধুর দিকে, কুরআনের দিকে। কারণ, সর্বশ্রেষ্ঠ ‘like’ হল সেটাই যখন আল্লাহ আপনার জীবনকে পছন্দ করবেন।
“আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, তারাই আল্লাহর দল। জেনে রেখ, আল্লাহর দলই সফলকাম হবে।” [সূরা মুজাদালাহঃ ২২]
Translated into English
Facebook or God’s Book
Many of us are addicted to Facebook. I also check Facebook account several times a day for an unknown blind harassment. Sometimes this is our last task before going to sleep, and then getting up early is the first task. When we are busy with it, time passes quickly, much like we are obsessed with it.
But how many of us have such an addiction, or any connection at all - to the Qur'an? It is the book or book that turns alcoholic, oppressive, girl-child-suppressed people into the path of justice, the defender against oppression, the tender heart, the Lord of all the world, into the destitute servant of God. If what is contained in this book can liberate the soul from the chains of eternal peace and instinct in the hearts of those people, then it will undoubtedly save us from our problems, the pains, and anxieties of the heart. However, the tremendous power it has to influence us will remain unknown to us throughout our lives if we continue to prioritize other relationships, excluding this book.
Some of us want to build a relationship with the Qur'an, but maybe it seems ... monotonous, difficult, or not fast enough. We're accustomed to status updates, photos, and lively conversations. We enjoy funny captions and pictures more. We really like people, communication, catching up with friends - or at least just Facebook. Many of us do not even know people who actually do not know.
In fact, what we like is already inside the Quran long ago. Now it is up to us whether we can exchange the Qur'an with the help of our present devotion, with the help of Allah. From the Qur'an, we can find the breadth of our hearts if we change our thinking and exploit our imagination. Let us now mention some of the ways in which we can actually use our relationship with the Book of Allah to improve our relationship with Al-Quran and hope to improve our position in the world and the Hereafter.
From God's Book to God's Book
Why do you feel attracted to Facebook or other social and popular media, repeatedly, returning to it at least a few times a day? Changing status, pictures, videos, etc. for a bit of innovation? To post your comment or commendation? Or, for the joy of being able to communicate instantly? or else just to pass this boring time? Find out what is the reason that pulls you over and over again? Then apply that reason to the Qur'an.
When you read the story of Noah (Moses), Jesus, Jesus, Lot (A), Mary (AS), when you read about the struggle with those whom they called in the way of Allah, you will remember them as a status update. Think of what God said and what people were saying during those events.
Mary (A) said something and Allah replied to her (think to message it). Jesus said something to his followers and they all discussed it (think tweeting that discussion). Moses (PBUH) calls on Pharaoh in the way of Allah (think of this as a post on Pharaoh's wall); Then Pharaoh came out to counter-attack with his followers (think of it as offensive comments). Allah destroyed Pharaoh's army (think it was deleted or banned). The Book of Allah is far more exciting, deep and full of newness than Facebook. All we have to do is add and tag it as a best friend.
I also find Facebook so addictive that I can communicate with our friends. So, let's build our addiction to the Qur'an by virtue of being able to communicate with God. When you wish to 'like' something to read in the Book of Allah, say 'Alhamdulillah'. The reward will also be earned and Allah will give more. Allah says: "If you are grateful, I will certainly give more to you, and if you are ungrateful, then my punishment will be severe." [Surah Ibrahim: 3]
Whenever you want to say something or 'comment' when reading a verse, raise your hand and pray. Instead of aimlessly commenting on it, you will strengthen your relationship with Him, who can make this book easier for you, listen to you and respond. When you read the description of Paradise or Hell, think that Allah (SWT) has uploaded the pictures for you so that you can focus on it and be impressed by it. When imagining such images will make you feel overwhelmed or overwhelmed, comment through your actions! Do something that draws you closer to those in Paradise and removes it from the painful fire. This kind of 'comment' will bring you lasting results both in the world and in the Hereafter. And Allah (SWT) will tag you as His chosen servant.
Make the Quran your best friend
Many times we post it when we feel depressed or lonely, or are depressed or depressed, or lonely. We all know how we are, what we are thinking, what has not happened today, what we expected to happen today, and so on. We often treat Facebook as our close friend, do not search repeatedly, come and visit regularly. Now is an opportunity to move this communication field in a different direction; Come on